ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার বদরখালীতে ৪সহোদরকে পৈত্রিক বসতভিটা থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা

ovijog_1নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::
প্রভাব খাটিয়ে এবং টাকার জোরে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আপন ৪ভাইকে বঞ্চিত করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রদরখালীর ইউনিয়নের ২নং ব্লকের পশ্চিম নতুন ঘোনা এলাকার মৃত আবদুল হামিদের পুত্র নুরুজ্জামান সওদাগর (৪৫) এর বিরুদ্ধে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় বদরখালী ইউনিয়নের মৃত আবদুল হামিদের ৫পুত্র যথাক্রমে নুর আহমদ (৬০), নুরুল আমিন (৫৬), নুরুজ্জামান (৪৫), আবুল কাসেম (৪০) ও সবার ছোট ইসমাঈল (২৮)। মৃত্যুকালে পিতা : আবদুল হামিদের একমাত্র সহায় সম্পত্তি ছিল ৫শতক বসতভিটা। পিতার রেখে যাওয়া ওই ৫শতক বসতভিটাই ছিল ৫ভাইয়ের মাথা গুজার একমাত্র সম্বল। কিন্তু সেঝ ভাই নুরুজ্জামানই অপর ৪ সহোদরের কাল হয়ে দাড়াল। আপন ৪ভাইকে ভিটেমাটি থেকে বঞ্চিত করে প্রভাবশালী নুরুজ্জামান একাই ৫ভাইয়ের সম্পত্তি দখল করে ইতিমধ্যে ৩ভাই ও তাদের পরিবারকে বাড়িঘর থেকে জোর পূর্বক বের করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে অপর ভাই আবুল কাসেমসহ ৪ভাই সমবায় আইনের আশ্রয় নেয়। জমির মুল মালিক বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি পক্ষ থেকে ৫ভাইকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস বিচারের মাধ্যমে এক ভাইকে ১শতক করে ৫ভাইকে ৫শতক জমি সমিতির আইন মোতাবেক ভাগবন্ঠন করে ভাইদের পক্ষে লিখিত একটি রায় দিয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী ও সুচতুর নুরুজ্জামান ওই সমিতির স্থানীয় রায় অমান্য করে অপর ৪ভাইকে বিবাদী করে কক্সবাজার জেলা সমবায় অফিসে ডিসপিউট মামলা নং ২৩/১৫ দায়ের করেছে। জেলা সমবায় কর্মকর্তা ৩ সহোদরকে পিতার বসতভিটা থেকে বঞ্চিত করে ২ভাইয়ের পক্ষে বায় দিলেও মামলার বিবাদীরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবুল কাসেমসহ অপর ৪ভাই বাদী হয়ে বিভাগীয় সমবায় দপ্তরের উপ নিবন্ধক (বিচার)চট্রগ্রাম এ আপিল মামলা নং ৪৩/২০১৫ দায়ের করেছে। এসময় ওই বিচারকের পেশকার বিজয় দাশ ও আবুবক্কর মামলার রায় পক্ষে দেয়ার জন্য বাদী আবুল কাশেমের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। কিন্তু আপিল মামলার বাদী দরিদ্র ভ্যান চালক আবুল কাশেম পেশকারের চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় ৪৩/২০১৫ নাম্বারের আপিল মামলাটি যাচাইবাচাই না করেই চট্রগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দপ্তরের উপ নিবন্ধক (বিচার) কক্সবাজার জেলা সমবায় অফিসে ডিসপিউট মামলা নং ২৩/১৫ এর রায়ই বহাল রেখে গত ০৩/১২/২০১৫ ইং তারিখে রায় দিলেও পেশকাররা রায়ের কপি প্রায় ৩মাস পর্যন্ত আটকিয়ে রেখেছে। সমবায় আইন অনুযায়ী পক্ষে বিপক্ষে কোন মামলা দায়ের করলে রায় দেয়ার ৩০দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আপিল করতে হবে। পেশকাররা দরিদ্র আবুল কাশেমের কাছ তাদের চাহিদা মতো টাকা না পাওয়ায় গত ০৩/১২/২০১৫ ইং তারিখে আপিল মামলার রায়ের কপি ৩মাস পরে বাদীর কাছে রেজিষ্ট্রি ডাকের মাধ্যমে প্রেরণ করেছে গত ০৬/০৩/২০১৬ ইং তারিখে, ওই আপিল মামলার রায়ের কপি রেজিষ্ট্রি ডাকের মাধ্যমে বাদীরা হাতে পেয়েছে ০৮/০৩/২০১৬ ইং তারিখে। চট্রগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দপ্তরের উপ নিবন্ধক (বিচার)র পেশকাররা আপিল মামলার বাদী আবুল কাশেমের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার রায়ের কপি আটকিয়ে রেখে ৩মাস বিলম্বে প্রেরণ করেছে। যাতে আবুল কাশেম নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল করতে না পারে। এদিকে দরিদ্র ভ্যান চালক আবুল কাশেমসহ ৩সহোদর তাদের পৈত্রিক বসতভিটা থেকে বঞ্চিত হয়ে দিশেহারা। ন্যায় বিচারের আশায় মানুষের ধারে ধারে ঘুরছে। এ ব্যাপারে দরিদ্র ভ্যান চালক আবুল কাশেমসহ ৪ সহোদর তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি একমাত্র সম্বল বসতভিটে ফিরে পেতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: